Tuesday, June 29, 2010

পরাবাস্তবিক ৭

অনাবৃত অনুশোচনাগুলি লাফালাফি করে...
নিত্যানন্দ নৈতিকতার নোনা জলে।
বিস্ফোরণ ঘটে চলেছে অহরহ মানসিক প্রাসাদে,
চক্রব্যুহে কঠিন সত্ত্বা ডুকরে ডুকরে কাঁদে।

Friday, June 25, 2010

নিধিরাম ও Katrina

রসবড়া খেয়ে উঠে নিধিরাম সুর,
ছাড়লেন এক খানি জোরালো ঢেকুর!
তাই শুনে পাশে বসা Katrina Ross,
চিৎকার করে বলে, "you r gross!"
ভর্ৎসনা শুনে নিধি, হয়ে লজ্জিত
কোনো কথা না বাড়িয়ে হাসে শুধু স্মিত।
অমায়িক হাসি দেখে বিদেশিনী শেষে,
নিধিরাম সুর কে ফেলে ভালবেসে!

Thursday, June 24, 2010

পরাবাস্তবিক ৬

আনমনা অজগরের আনন্দাশ্রু বয়ে
কর্দমাক্ত হয়েছে আজ ছায়াপথ।
কিলিমাঞ্জারোর চুড়ায় চড়ে চনমনিয়ে
জানান দিল সে জয়োচ্ছ্বাস ড্রাম বাজিয়ে।

Tuesday, June 22, 2010

পরাবাস্তবিক ৫

মর্তমান কলার সাদা সাঁসের মত
নরম আত্মবিশ্বাস কে নাড়িয়ে দিয়েছে
নেতিবাচক নখড়া।
ফুলবনে ফড়িং নাচে আপন খেয়ালে
ধুর্ত জুয়ারি জিতবে খেলা নিপুণ চালে।

বিশ্ব-কাপ

মলম মাখানো মসৃণ মুখ
ভুভুজেলায় ভীষণ ফুঁক।
তুরীয় নেশায় তন্বী রম্ভা
চনমনিয়ে নাচছে সাম্বা।
বিশ্বকাপের বাজছে ঢোল
সবাই মিলে খুজছে গোল!

Sunday, June 20, 2010

হোমওয়ার্ক

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হারিয়ে যাচ্ছ তুমি
এক নিরাশাজনক সমান্তরালতায়...
তোমাকে পাবার শেষ চেষ্টায়,
পাঠ করছি সম্মোহনের মন্ত্র!

স্থানান্তর

উড়তে উড়তে একটা আর্কিয়প্টেরিক্স
পৌঁছেছে আজ পরিবর্তিত পুর্ণচ্ছেদে।
সহস্রাধিক রাজপুত্রের দেশে,
ডানা ঝাপটিয়ে শুরু করল ফাজলামো!

Thursday, June 17, 2010

বিরক্তি

শুয়ে থাকা শুয়োরের শুণ্য চোখে
জ্বলে ওঠে সরপুরিয়ার স্বপ্ন।

সন্ধ্যা-প্রদীপ এর টিমটিমে শিখা,
আর নাকি সুরে জোরালো মিকা,

তন্দ্রাচ্ছন্ন মায়ার বারোটা বাজালো।

পরাবাস্তবিক ৪

মেহনতী মানুষের অর্জিত মোরব্বা
লোভ দেখাচ্ছে অলস আশাবাদী কে।
স্বর্গে যাবার পেঁচানো সিঁড়িতে
বার বার উলটে পড়ে আড়ষ্ট সৈনিক।

ক্রশ-রেফারেন্স

পর্ক ভিন্দালুর ঘন হলুদ ঝোলে
মাখামাখি হল অতৃপ্ত আত্মার বিস্বাদ...
গ্র্যান্ড ক্যানিয়নের লুকানো খাঁজে
আটকা পড়েছে ইন্সম্নিয়াক চোখ।

Wednesday, June 16, 2010

জাগো

যোগনিদ্রায় শুয়ে শুয়ে ভাবে মহাকালের ওই শিশু
ঘুম ভাঙ্গানো প্রয়োজন খুব ফল যদি চাও আশু।
তোমার আমার কবিতার খাতা পিপড়ে তে নেবে খেয়ে
ছাপ রেখে যেতে চাও যদি তবে যাও তুমি ভাই ধেয়ে!

Monday, June 14, 2010

উল্ট-পাল্টা

ক্যাঙ্গারুর কামড়ে হল কালাজ্বর
ঠক ঠক করে কাঁপে হিমানীষ ধর!
হরবোলা চাঁচাঁ সুরে হরিনাম গায়
বিস্কুট কামড়িয়ে বিয়েবাড়ি যায়।
সমাদর না পেয়ে সমকামী বুড়ি
চটি বই পড়ে দেয় খুব হামাগুড়ি।
বাংলায় র‌্যাপ গেয়ে শীলেট এর লালু
সঙ্গিতে করল সে নিউ প্রথা চালু।
মারাদোনা খিস্তোয় লায়োনেল মেসি কে
ফুটবল মাঠে তার ভুল হল বেসিক-এ।
এইবেলা ভুল বকা দিতে হবে থামিয়ে
নয়তো হাবিব দেবে চুল খানি কামিয়ে!

ভোরের স্বপ্ন

এসেছিলে স্বপ্নে ভোর পাঁচটায়
প্রলোভন সামলে ডাকিনি তোমায়।
ডাকলে যে সাড়া তুমি দেবে না জানি
ভোরের স্বপ্নে বাঁচে আশাবাদী প্রাণি।

Friday, June 11, 2010

ফিরে আসা

অন্ধকারের কালান্তক ঘনত্ব
নিদাণ হাঁকছে নিদারুণ গাম্ভীর্যে...
তবু ফিরে আসে বার বার অমর ঔদ্ধত্বে,
তোমাকে ভালবাসার ইচ্ছা!

Wednesday, June 9, 2010

অজুহাত

নীওন আলোর নীলাভ আভায়,
তোমার লাল ঠোঁঠ হল ম্যাজেন্টা।
দুরের গীর্জায় বাজে সান্ধ্য-ঘন্টা...
ধর্মের টানে উপেক্ষিত হল আদিম আকর্ষণ।

বুলু

বেহালার বুলু রায়,
সারাদিন মুলো খায়।
তারপর জমে গ্যাস,
বাড়িয়ে ভুড়ির ব্যাস।
তবু বুলু উদাসীন,
খেয়ে যায় চাওমীন!

বুমেরাং

ছুড়েছিলাম বুমেরাং অরণ্যকন্যার দিকে
এরোডায়নামিক্স এর সফল প্রয়োগে
ছিনিয়ে আনল তার হৃদয়।
তুরীয় আনন্দে, মেস পাওডার পড়ল...
বিরিয়ানীর পরতে পরতে।

Tuesday, June 8, 2010

পরাবাস্তবিক ৩

ময়ুরের পেখমে মুদিখানার চিটে গুড়...
দেখিয়া নাচিলো হাতি নাড়িয়া মস্ত শুঁড়!
মশাল নিভিয়াছে গোল্ডেন গেট-এ
ফিরিয়া চলিতে হবে জাম্বো জেট-এ।


পরাবাস্তবিক ২

আকুল হয়ে বস্তুবাদি বাদুড়ের পিছে ছোটে,
সিগনাল বিহীন ক্রশরোডে খোজে আশাবাদী সঙ্কেত।
ছড়াতে হবে অনেক আলো, অন্ধ হবে বাদুড়
তদ্যপি কবিতা লেখো মাটি তে পেতে মাদুর!

Monday, June 7, 2010

পরাবাস্তবিক

সপ্তম স্বর্গে গিয়েছিলো একটা মোষ...
নেড়ে এসছিলো সিং দিয়ে দধীচির কড়া।
চ্যবণপ্রাশ এর আয়ুর্বেদিক স্বাদ
বন্য করেছে গৃহপালিত পশু কে।

আত্ম-সমালোচনা

নীরব আবেগ নিয়ে, ফুঁসেছি আপন মনে,
হারিয়ে গিয়েছে দীর্ঘশ্বাস, ক্লস্ট্রোফোবিক বনে।
যতই ভেবেছি বলবো তারে নিজের মনের কথা
খামখেয়ালি হিসেব-নিকেশ গুলিয়ে দিয়েছে মাথা!

Sunday, June 6, 2010

এক্সিট

অন্ধকার প্রেক্ষাগৃহে, নাটক চলছে জোর
শক্তিশালী চিত্রনাট্য, বার বার ঘোরে মোড়...
জীবন-মৃত্যু বিষয় নিয়ে নাটক জমে হিট
মৃত্যুর সীনে নজর কাড়ল, লাল রঙ্গা "EXIT"

একটা তৃপ্তিদায়ক শনিবার

হয়েছিল দিন শুরু, রুপসির ছবি দেখে
দিনখানি শেষ হল, মাংসের চাপ চেখে।
মাঝখানে হল মৌজ,
থিয়েটার ও ভুরিভোজ,
রাত শেষে শুয়ে পড়ি তৃপ্তির হাওয়া মেখে!

Friday, June 4, 2010

ট্র্যাজেডি

বসে আছি কফি শপ-এ ক্লান্ত আমি,
সস্তা ঠোঁঠে তে টানি ক্যাপুচ্চিনো দামি।
উড়িয়ে সুবাস যত,
এলে তুমি থতমত,
পাশে বসা ছেলেটিকে দিয়ে গেলে হামি!

উইকেন্ড

লুকিয়ে থাকা ক্ষুধার কারণে বারে বারে
টিনের বাটি নিয়ে ঘুরেছি দ্বারে দ্বারে।
ধানি ফটকারা গেছে মিইয়ে,
ফাটছে না দুম দাম শব্দে।
রেজালা রেধেছি কসিয়ে আজকে এক ডেকচি
বাড়া ভাত-এ তবু, ছাই দিতে চাই দিনেশ বাগচী।
cognac-এর ফোঁটা,
ভেজালো আমাকে গোটা...
এইবার হবে বাওয়ালি চরমে জ্যাঠা!

ফিউশন

তুমি একটা কন্সেপ্ট;
তুমি একটা মায়া।
অনেক ফর্ম-এ এসেছো তুমি,
নিয়েছো হরেক কায়া।

ফিউশন হয় গান-বাজনায়
ফিউশন হয় খাদ্যে...
তোমার হরেক সত্ত্বা কেন
মেলেনা এক এর মধ্যে?

Wednesday, June 2, 2010

ঊর্বশী

ঊর্বশী তুমি...খেয়েছ কি গাঁজা?
আজ কেন ফেলছো না স্টেপগুলো সোজা?!
নাকি আজ আমিই হয়েছি মাতাল,
তোমার ছন্দ গুলি দেখি ভুলভাল??

ঊর্বশী কেন তুমি দাও না জবাব??
তোমার সঙ্গে চাই, করতে যে ভাব!

মকবুল ফিদা

মকবুল ফিদা
কহে আলবিদা
আঁকবে না নগ্ন ছবি
বেলতলা গিয়ে
মাথা নেড়িয়ে
হয়ে যাবে ফাজিল কবি!

Tuesday, June 1, 2010

টমেটো

গ্রীশ্মের দুপুরে লাল ছোট ছোট
রাস্তায় পড়ে আছে অজস্র টমেটো
নিষ্ঠুর মানুষের পদচাপে পিষে
টমেটোর রস গেল রাজপথে মিশে

গ্রীশ্মের পরে শিত আসে চুপিসারে
টমেটোর স্থান হয় রান্নারই ঘরে
টমেটো কে পেয়ে আলু নাচে আহ্লাদে
দেখা হল দুইজনে বহুদিন বাদে

বেশিদিন এই সুখ হলনা যে স্থায়ি
টমেটোর খুন হল বিধি অনুযায়ী
ছুরি এসে ঢুকে গেল মাংসালো পেটে
টমেটো কে করল সে দুই ভাগ, কেটে

তাই দেখে গোল আলু বলে একি হল!
টমেটো কে সে বড়ই বেসেছিল ভাল
টমেটোর দুখে আলু লেখে ডায়েরী 
প্রতি টি পৃষ্ঠা ভরা প্রেম শায়েরী! 

------------পাবলো নেরুদা-র "an ode to tomatoes" হইতে অনুপ্রাণিত

ইচ্ছে করে...

ইচ্ছে করে ভীষণ তোকে আলতো করে ছুই।
ইচ্ছে করে ভীষণ তোকে দিতে ভোরের জুঁই।
ইচ্ছে করে ভীষণ তোকে অন্য নামে ডাকি।
ইচ্ছে করে ভীষণ তোর চোখের ছবি আঁকি।

ইচ্ছেগুলো জমছে সবই।
তাদের চাপে হচ্ছি কবি।

একটা যন্ত্রণা দায়ক লিমেরিক

জ্বেলেছিলে আলো তুমি গোধুলির মুখে
আলো পানে ধেয়েছিনু আদেখলা সুখে।
বৃথা মাতামাতি
নিভল যে বাতি!
মন খানি ছেয়ে গেল অহেতুক দুখে!!

ট্রাই এগেইন

মরিচীকার থেকেও বেশি মায়াবি তুমি...
বারবার ছুতে গিয়ে মুখ থুবড়ে পড়ি।
অশ্বডিম্ব রয়েছে কপালে;
নিস্ফল ফিরি অন্তর্জালে...
কানের পাশ দিয়ে নিষ্ঠুর, উষ্ণ বায়ু
বলে গেল, "ট্রাই এগেইন, নো ডোনাট ফর ইয়ু!!"

সচেতনতা

ধুকু ধুকু জ্বলে আজো রাবণের চিতা
কার্বন এমিশান বাড়াচ্ছে কি তা?
প্রশ্ন টা রাখলেন হারাধন রায়,
পরিবেশবিদ দের বিশ্ব-সভায়।
বড় বড় বিদ্বান শুনে সেই কথা
বলে, "ওরে হারু তুই বকিস না জা তা!"

ঘুম না এলে...

বিনিদ্র বোকামির ফলাফল জিরো,
অদৃশ্য শত্রুর আজ পোয়া বারো।
জুপিটা্রী লাল ঝড় হুস হাস ক'রে
ভেনাস এর পথে আজ ব্যারিকেড গড়ে!!
গাড়ি চলে কেঁপে কেঁপে মশৃন গতে
ঝুঁকি নিয়ে করে ফেলো কেল্লা ফতে!!
খেলা হবে এইবার অজানা মাঠে...
চলো যাই ছিপ ফেলি পুর্ব ঘাটে।

ডেস্পারেশান

যে কোনো মুল্যে আমি
কিনবো তোমার হামি...
যতই তুমি বাড়াও দাম
জিতব আমি এই নিলাম!

পাঁপড়ের উপকারিতা

ফুরুৎ করে গেলো উড়ে মনের ময়না পাখি
দুঃখু আমার করতে দূর পাঁপড় ভাজলে কাকী!
পাঁপড় ভাজায় বেজায় তেল, হুঙ্কারিলো কাকা
স্বাস্থ্যহাণির আশঙ্কা তে খেলাম পাঁপড় স্যাঁকা!

বিভ্রাট

পোঁদপাকা সজারুর কাঁটার খোচায়,
ফুঁটো হল চারু দার ধুতির কাছায়।
ফুঁটো ধুতি পড়ে চারু গেল বালিচক,
সনসনী খবর টা দিল "আজ তক"।
ব্রেকিং নীউজ গেল বৌদির কানে,
চারুদা কে বৌদি ধরল ফোনে।
ফোন করে বৌদি দিল সে কি চাপ!!
চারু দাদা বলে, "কর এই বেলা মাফ।
কথার খেলাপ আমি করবো না মিছে,
নবাব এর জাঙ্গিয়া পরব যে নিচে!!"

ব্যাথা ও ফ্রাস্টু

তোমার নিস্তব্ধতার মধ্যে ছিল না কোনো নির্মমতা...
আনাড়ি আবেগ এর চঞ্চলতা বেঁধে রাখতে পারেনি
সুশীল স্রোতস্বিনী কে।

পেরিয়ে গিয়েছে হাফ ডজন বসন্ত
বদলে ফেলেছি নিজেকে আদ্যন্ত।
বদলায়নি এই পবিত্র মন।

হৃদয়ের বাম অলিন্দে পড়ে আছে ফাঁকা জায়গা।
আবার যদি দেখা দাও খেলতে খেলতে
আস্টে পিস্টে পারব তোমায় বেঁধে ফেলতে!!

মেসোপটামিয়া

চুপি চুপি গেছিলাম মেসোপটামিয়া
খুজে পাইনি বুদ্ধিজীবির লাইসেন্স...
মরুভুমির তপ্ত বালুকণায়
আমার হিসু মিলিয়ে যায়।
শাহরুখ খানের সোনালি চুলে...
কাকাতুয়া হেগে ফেলে ভুলে!
আর কেশ উতপাটন করে কাজ নাই

এখন শুধু একটাই লক্ষ্য...
গর্তে সেঁধিয়ে লাভ করব মোক্ষ!

সুমেরু

সুমেরু দেশের বোমারু বিমানে।
শত্রুরা ছোঁড়ে আগুন সমা্নে।।
ঝলসে গিয়েছে বিমানের ডানা।
ক্রুদ্ধ হলেন চিতোরের রা্না।।
রানা কে করতে ঠাণ্ডা সবাই।
একশ মোষ কে করল জবাই।।
তাই শুনে শশী চুল্কে মাথা।
বললে, "কিসব করছ জা তা?!"
"ক্যাটল ক্লাস কে দিচ্ছ বলি...
জানো না কি তারা এনিমাল হোলি??"
তাই শুনে রানা গাঁট্টা মেরে
শশী কে দিল উদুম ঝেড়ে!

তাল কেটে যাওয়া

সুপ্ত বাসনার সঙ্গিন সমাহারে
সুরুৎ করিয়া টানি সরীসৃপের ঘিলু...
শালবনে স্যামসাঙ্গের মোবাইল ফোন
কির কির করে জানান দেই প্রেম ত্রিকোণ
কপাল দিয়ে ঘাম ঝরে টুপ টুপ টুপ
দেখিয়া তোমার রসাল রুপ...

ধুর ছাই লোডশেডিং হয়ে গেল!!

পাগলার প্রতি

আর চুল্কিয়ে কাজ নেই
এবার ক্ষীর খা...
তা যদি না জোটে
মেথাইল এল্কহল খা...

তুই এগিয়ে চ'
আমি আসছি!

জিম করবেট

কবিরাজি কাটলেট
খেয়ে জিম করবেট
গেয়ে ওঠে দরবারি রাগ...
তাই শুনে সম্রাট
দিল তাকে টাকা আট
বলে তুই কিনে আন ছাগ!

চুমু দিতে কয় পয়সা নেবে?

মোচার ঘন্টে মরোক্কান মাফিয়ার মাতব্বরি---
মরুঝড় নিয়ে এল শশিবাবুর বাগানে।
মাওবাদি দের মোক্ষম নিশানায়
হিশি করে ফেলে মন্টু বিছানায়!
বেহালার মস্তান আজো দৌড়ে বেড়ায় ইডেন উদ্যানে
শশী থারুর এর টুইট দেখে খিদে পেল হুলিয়ে

চুমু দিতে কয় পয়সা নেবে?
উজবুক সমাজের সতত সুড়সুড়ি তে
আলুভাজা খেয়েছিলাম শিলিগুড়িতে

তারপর হল বিশ্রী অম্বল
বুকজ্বালায় ভেসে ওঠে তোমার চিত্র সকল
আসল, নকল এবং প্যারাসিটামল

বাইপাস সার্জারির পর আর কবিতা লিখি না।।

ফ্রাস্টু

খণ্ডিত হৃৎপিণ্ডের দিব্যি
তোমার কথা ভেবে...
আর লিখব না গো কাব্যি!

গিটার বাজাতে পারি না আমি
নাইকো লম্বা চুল...
তাই বলে ভালবাসতে পারি না...
ভাবলে করবে ভুল!

ইন্টারনেট জার্গন

প্রোপোজ তোমায় করলাম chat-এ জুগিয়ে অনেক বল
পাত্তা তুমি দিলে না আমায় কেবল লিখলে,... "LoL"!
********************************************

প্রাণ টাও দিতে পারি, যদি তুমি চাও...
এই কথা শুনে তুমি লেখ, "LMAO"!!

সাপ্লিমেন্টাল

ই. মেক-এ ফেল ক'রে মনোময় পাল
প্রফেসর কেলিয়ে মেটালো সে ঝাল!
তারপর বিতারিত হ'ল মনোময়
প্রফেসর বলে, "এটা হামেশাই হয়!"

বিঃ দ্রঃ ই. মেক হল ইঞ্জিনীয়ারিং মেকানিক্স...যাদবপুর ইউনিভার্সিটির কিছু কিছু ছাত্রের ফার্স্ট ইয়ার এ রাতের ঘুম কেড়ে নেয়...তার মধ্যে এই অধম একজন!

কেলেঙ্কারি

সুবিনয় মাইতি-র হারিয়েছে মন
তাই সে দৌড়ে গেল ওয়াশিংটন
সেথা হতে ফোন করে বলে, "নাগমামা
মন নিয়ে গেছে মোর লেডি ওবামা!"
আমি বলি চুপচাপ ফিরে আয় ওরে
নয়ত প্রাণ টা তোর যাবে বেঘোরে!!
বিমর্ষ সুবিনয় চলে আসে ফিরে
মনহীন কাটে দিন হাডসন তিরে।

সন্তোষ এর কাণ্ড

সন্তোষ শর্মা-র পেটে বড় চর্বি
ডাক্তার বলে তুই শীঘ্রই মরবি!
তাই শুনে সন্তোষ কেটে তার পেট
চর্বির সুপ রাঁধে, সাথে অমলেট!
সুপ খেয়ে সুটকে শিবু মন্ডল
পেট ফুলে হয়ে গেল জব্বর ঢোল!

নীলমণি

নীলমণি হালদার
খেয়ে আম মালদার
ছেড়ে দিল বিদ্ঘুটে পাদ...
সেই শুঁকে কোচ তার
খেয়ে গিয়ে বড় খার
দিল তাকে টিম থেকে বাদ!!

বনমালী

রন্ধন বিশারদ বনমালী শেঠ
ফড়িঙ্গের ঘিলু বেটে ভাজে কাটলেট!
সেই কাটলেট খেয়ে আমাদের ওমি
অহরহ করে চলে সবজেটে বমি!

মিক্সড ব্যাগ

মমতা দিদির বাড়ি তে খেয়ে জল-চিনি-মুড়ি ।
বুদ্ধবাবু-র সঙ্গে খেলি বরফ ছোঁড়াছুড়ি ।।
তাই না দেখে মহেন্দ্র সিং বাজায় স্প্যানিশ গীটার ।
গ্রেম স্মিথ এর মাথায় নাচে প্রোদোষ সি. মিট্টার ।।
শাহরুখ খানের গলায় পড়ায় বাল ঠাকরে মালা ।
আনন্দে তে ডিগবাজি খায় সুখেন দাস এর শালা।।
ব্রেকফাস্ট-এ হজম ক'রে ওক্টোপাস এর মজ্জা।
সেক্স-সীন-এ বিপাশা বসুর বেদম পেল লজ্জা।।
অনেক খানি বকলাম ভাট এবার আমি আসি।
আমার হয়ে প্রক্সি দেবে সনাতন পাকড়াশি।।

খেয়ালি প্রলাপ

ভ্যালেন্টাইন ডে-এর পূর্বে...

কেউ বা খাবে উষ্ণ চুমু, কেউ বা দেবে মিষ্টি হ্যাজ
প্রেম-দিবসে আমার ভাগে Orkut আর Google Buzz!

ভ্যালেন্টাইন ডে-এর পরে...

আজি এ পুণ্য তিথি-- কাটিল সাদামাটা
তোমার অভাব পূর্ণ করল চার-ডলারি পাঁঠা!