অন্তিম ফাঁকা বাক্স

আলু সেদ্ধ মাখো তুমি রোজ 
পটাসিয়াম সাযানাইড দিয়ে ....
কেন বার বার বিষিয়ে দাও 
আমার প্রিয় সব কিছু কে?
টেস্ট টিউব এর অ্যাসিড চলকে 
পুড়বে যেদিন তুমিও,
ঠিক পরবে টিক চিন্হ
অন্তিম ফাঁকা বাক্সে!

এক খানি চিঠি লিখব তোমায়

এক খানি চিঠি লিখব তোমায়
অনেক যত্নে আজ ...
ভাষা খুঁজছি, খুঁজছি বিশেষ
শব্দের কারুকাজ ।

এক খানি চিঠি লিখব তোমায়
অনেক বছর পরে,
স্নায়ু-চঞ্চল মন টা কে তাই,
বন্দী করেছি ঘরে ।

সাদা কাগজে হিজিবিজি কাটি
সকাল থেকে সাঁঝ
এক খানি চিঠি লিখব ঠিকই
অনেক যত্নে আজ!

কমলিকা

সবুজ পাহাড়ি গালিচায় যেথা মেঘেদের পড়ে চুম্বণ ... নাম না জানা কাজলা মেয়ের শুনেছি নুপুর নিক্কণ! "কে গো তুমি মেয়ে,শীতল পাহাড়ে জাগাও রূপের শিখা?" স্মিত হাসি হেসে জবাব সে দেয়, "আমি-ই তো কমলিকা!"

ঝীলম

স্রোতস্বিনী তুমি,

ভেজাও আমার সত্তা ...

ঝীলম তোমার স্রোতের মুখে 

রাখলাম নিরাপত্তা! 

পাসে থাকো

মেঘলা বিকেলে, উদাসী মন 

সন্ধান করে প্রতি টি ক্ষণ 

তোমার উপস্থিতি ... 

নাই বা রইলো রোদ্দুর সাথে,

তুমি পাসে থাকো সিক্ত পথে,

বাড়বে চলার গতি।

পন্ডিত রবিশঙ্কর এর প্রতি

রবির কলম থেমেছে আগেই 

থামল রবির সুর,

আশা রাখি, দেবে আকাশের রবি,

অবিরত রোদ্দুর!

বদলা

বড়সড় কুত্তা,

মেরেছিল গোত্তা,

প্যাঁচা টার দুর্বল নাকে ...

ক্ষমতায় এসে প্যাঁচা,

কুত্তা কে দিল খোঁচা,

বদলা নিল সে এই ফাঁকে!

রাত্রি

রাত্রি তুমি রূপ বদলাও,

প্রতি সপ্তাহ শেষে।

রাত্রি আমার ভালবাসা তবু 

রয়ে যাবে একপেশে ...

রাত্রি তুমি আলো-আঁধারি 

রাত্রি তুমি গোপন,

রাত্রি তোমার মধুর সুরে 

প্রেম হয়েছে রোপণ।

রাত্রি তুমি বলছ আমায়,

বদলে গেছি আমি?

রাত্রি তোমায় ধরব বলে 

হয়েছি অস্তগামী! 

এলোমেলো ঘর

যার ঘর এটা, লজ্জায় তার 

মাথা হয়ে যাবে হেঁট,

চাড্ডি  ঝোলে টেবিল ফ্যানে 

চেয়ারে পাজামা সেট!

রেনকোট টি সোফার উপর  

স্থিতি-জাড্যয় স্থির

কলঙ্কিত কাপ-ডিশ যত 

মেঝেতে করেছে ভিড় !

দরজায় ঝোলে প্যান্টুল গুলি 

বেশি ভাগ সব বাসি, 

ভেজা গামছায় ঢাকা পরেছে 

জানলার পাসে এ. সি !

বিছানায় শুয়ে টিকটিকি এক 

হরিহর তার নাম,

প্রাণ-কাঁপানো মোজার গন্ধে 

অবদান রাখে ঘাম!   

যার ঘর এটা, জানাচ্ছি তাকে  

শত সহস্র ধিক!

কি বলো  হে?! তোমারি ঘর?

অনুমাণ টা ঠিক! 

 

সিরিয়াল কিলার

মন গেছে চুরি 

হরিধন বালার...

হৃদয় হারিয়ে সে,

সিরিয়াল কিলার!

কিল মারে একে-ওকে 

কিল মারে নাকে,

কিল মারে বন্ধুর

জায়মান টাকে! 

গন্ডি

চারপাশে কাটি গন্ডি যত্নে...

তবু মাঝে মাঝে  বেয়াড়া সূর্য,

ছায়া ফেলে তোর লম্বা! 

কর্কট

টেনে নেব তোমাকে এমনি ভাবে
সিগারের ধোঁয়ার মত,
যত খুশি বিষ ছড়াও আমার ফুসফুসে...
সমস্ত ধমনী তে,
শিরায় শিরায় যেভাবে ছড়িয়ে পড়েছে
তোমার কাজল...আর কোনো রোগ কে
পাই না আমি ভয়!

শাস্তি

এক এক করে সবই যাবে...

প্রথমে হৃত্পিণ্ড,

তারপর মেরুদন্ড,

এরপর পালা মস্তিষ্কের...

কঠিন শাস্তি এমনই,

একতরফা ইশ্ক-এর!

আর্ম স্ট্রং

হারিয়ে গেল চাঁদ
কেড়ে নিয়ে সব রং,
শক্ত করে ধরব আবার..
বানাচ্ছি আর্ম স্ট্রং!

আর এক খানি আকাশ আছে

আর এক খানি আকাশ আছে..

বিস্তৃত আরও, আরও রঙিন,

হয়ত আর এক সূর্য সেখানে

রোদ্দুরে করে রাত কে দিন...

ঠিকানার খোঁজ সেই আকাশের

করে যায় মন অন্তহীন! 

বৃথা আশা

অভ্যাস তুই অন্য কারো,

আমার নতুন নেশা....

অন্য কে দিস আলোর হদিস

আমায় বৃথাই আশা! 

নোঙ্গরে কামড়

হাবুদের জাহাজের চকচকে নোঙ্গরে,
কামড়টি বসালো পাগল এক হাঙ্গরে |
নোঙ্গরের শোকে হাবু কান্নায় ব্যস্ত,
বাবা কয়,"তবু ভালো জাহাজটি আস্ত!"

বিশুদ্ধ carb

সদাশিব আমরে,

এই খেলো কামড়ে,

এক কাঁদি কলা বহু সুখে |

বিশুদ্ধ carb-এ,

energy বাড়বে,

দাঁড়াবে যুদ্ধে সদা রুখে! 

ধন্য

হেসেছি তোমার জন্য

কেঁদেছি তোমার জন্য

জানি না আজকে আমি না তুমি,

কে বেশি হয়েছে ধন্য? 

ঢেউ

জানি তোর কান্না-হাসির হিসেব রাখে

অন্য কেউ,

জানি তোর ভীষণ ভাবে খেয়াল রাখে 

অন্য কেউ...

তবুও মানে না মন,

নীতিগত স্বশাসন...

নির্মূল করে বিবেক কে এসে অবুঝ 

প্রেমের ঢেউ! 

গড্ডলিকা প্রবাহে

গড্ডলিকা প্রবাহে ভেসে গিয়ে

উড়ে ছিলাম আকাশে,

আজব সম্মোহনে এখনো ভাসছি

অবজ্ঞা করে হাতছানি তোমার....

এর চেয়ে হিমালয়-ই বোধ হয়

বেশি শান্তি দিত |

বিদায়

সাবমেরিনে সুতপা,

গন্তব্য পাতাল |

কাজ নয় তার গুড-বায় শোনা

আমি যে আজকে মাতাল...

কি এসে যায়? সকালের টোস্ট 

মাখন ছাড়াই হবে,

সন্ধেগুলো শান্তি তে যাব

মোহন দাস এর পাব-এ! 

স্পর্ধা

দেখিয়েছিলাম স্পর্ধা,

তোমায় সরাতে দুরে...

কাজল-কালো চাহনি তে তাই,

হৃদয় গেল পুড়ে!

প্রতিবিম্ব

ইউরিনালের জমে থাকা মূত্রে....
দেখতে পেলাম তোমার প্রতিবিম্ব,
এ কেমন অসুখ,
যা জীবাণুর মধ্যেও খোঁজে
বেঁচে থাকার পাঁচন?

কৈফিয়ত

শৌখিন ভাবে পারিনি খেতে
মাংস খেয়েছি খুবলে,
তাই কি তুমি কমোডের জলে
হঠাত আজকে ডুবলে ?

দিদি

দিদি তুই এমন খেপিস ক্যান?
বাচ্ছারা তো আঁকবে, লিখবে
এটা-সেটা হ্যান ত্যান....
দিদি তুই এমন খেপিস ক্যান?
দিদি তুই শান্ত হয়ে রাজ্য চালা,
তুচ্ছ লোকে করুক খেলা,
দিস নে তাতে কান....
দিদি তুই এমন খেপিস ক্যান?

April Fool

বোকা হয়েছি অনেক আগেই
আমারি ছিল ভুল...
ভালোবাসো ভেবে এগিয়েছিলাম,
সেদিন থেকেই fool!

প্যান্টুল

প্যান্টুল,
তুই ভিজে যাস কেন বার বার?
অস্বস্তি তে ফেলে দেওয়া
তোর কারবার...
প্যান্টুল
তুই ব্যর্থ কেন চাপতে,
সেই দোষ গুলো? ভেবে ভেবে
আমি জেরবার!

কু-ভাবনা

এগিয়ে যাবার মুরদ নেই
পিছিয়ে পড়াও স্বভাব না
মাঝপথে একা দাঁড়িয়ে তারাই
জমে ওঠা যত কু-ভাবনা!

খুন হচ্ছে প্রেম

এইভাবেই শত শত বার
খুন হচ্ছে প্রেম....
আর প্রাণপণে আমি ভাবি,
যদি হয় এটা দুঃস্বপ্ন...
অথবা ভিডিও গেম!

তারা ধরবার রোগ

আলো ঝলমলে শহরের পথে,
হেঁটে চলেছি রাতের সাথে....
মাটির সঙ্গে নেই যোগাযোগ,
তারা ধরবার চেপেছে যে রোগ!

এখনো লেগে আছ তুমি

এখনো লেগে আছ তুমি....
আমার হৃদয়ের বেয়ারা অলি-গলি তে,
পাঁঠার হাড়ের ফাঁকে ফাঁকে
না খেতে পারা মাংসের মত |
ক্ষরণ হচ্ছে হরমন,
শুনছি আর.ডি. বর্মন|

ইন্টার্ভিউ সোমবার

লড়ে যাচ্ছি ভিড়ের মাঝে
নই কো পাত্র দমবার,
চাকরি টা বস পেতেই হবে
ইন্টার্ভিউ সোমবার |
বেলা বয়ে যায়, সি প্লাস প্লাস টা
এখনো হয়নি রপ্ত,
টেনশন হয়, কোম্পানি ভাবে,
প্রতিভা আমার সুপ্ত |
তার বেসিস-এ চাকরি টা যদি
লাগিয়ে ফেলি ফ্লুকে,
কে জানে হয়ত বেলা বোস এসে
জড়িয়ে ধরবে বুকে!

মাতা সরস্বতী-র প্রতি...

বিদ্যা তো মা অনেক দিলে,
বালান দাও এবার...
ফ্যান্টাসি জমে পাহাড় হয়েছে
ছাড়ান দাও এবার |

মেনে নেব

মেনে নেব এই "না"...
মেনে নেব সব বাহানা |
মানতে আমি পারবো না আজ
একটাই কথা শুধু,
আমায় ভেবে কখনই তুই,
উতলা হসনি মৃদু!

সুলোচনের সন্দেশ

বানালো যা সন্দেশ
সুলোচন ময়রা...
প্রশংসা করে গেল
সিলেট-এর রায় রা!
সন্দেশে সুলোচন,
দিলে যেন কি পাঁচন,
খেয়ে তা, খুলে হয়
দৈনিক কি রেচন!

হুলো দের পুকুরে

হুলো দের পুকুরে,
মুলতানি কুকুরে,
করেছিল ঠ্যাং তুলে হিসি |
জল হলো ম্যাজিকাল,
টাক থেকে ওঠে বাল,
আসে সব হাতে নিয়ে শিশি!

কিন্তু বা কোন শর্তে?

সোমালিয়ার শ্মশানে,
ফ্যামিলিয়ার ফ্যাশানে,
দেখেছি তোমায় পুড়তে....
করতাম অনুসরণ,
যেতাম সহমরণ,
কিন্তু বা কোন শর্তে?

রাশিয়ান স্যালাডে

রাশিয়ান স্যালাডে
গুড় দেন বেলা দে...
চমকান অতিথি সকল,
বেলা কন, "তাতে কি,
রুল নেই সাবেকি,
বানাতে হবেই অবিকল! "

মজবুর

বিয়ে করা বউ এর বেগুনি
ম্যাগি হাতায়,
মুগডালের ম্লেচ্ছ ছাপ...
মজবুর করেছে আজকে আমায়
করতে কঠিন পাপ!

গোইং গ্রীন

পড়ছে ই-বুক,
উঁচিয়ে চিবুক,
নতুন যুগের মানুষ সব |
বইয়ের কাগজ,
বাঁচছে যে রোজ,
"গোইং গ্রীন" উঠছে রব!

বছরের শেষে

টানেলের শেষে রয়েছে আলো,
ফানেলের শেষে রয়েছে তেল
বছরের শেষে নতুন বছর,
শুরু হবে কাল নতুন খেল!

লোকপাল বধ

লোকপাল ছিঁড়ে তোরা
বানালি যে ঠোঙ্গা
ডেমোক্রেসির পুরো
মেরে দিলি পোঙ্গা!

ন্যাকা মেয়ে

ন্যাকা মেয়ে ব্যাঁকা ঠোঁটে
গোঁজে স্যাঁকা পাঁপড় টি
বিভাজিকা এক্সপোজ
করে তার কাপড় টি !

এক্স-মাস

অর্থনীতির চাপে
সান্তা দাদু কাঁপে
গিফট জোগাড়ে ছুটছে
রাতের ঘুম |
এবার দাদুর বস্তায়
গিফট টিফ্ট তাই সস্তা |
প্রার্থনা কর মার্কেট
হোক বুম !

মনে পড়ে

পুরনো খাতায় চোখ চলে যায়
নতুন বছর প্রাক্কালে,
মনে পড়ে যায় কবিতা লিখেছি
আমিও কত, এক কালে !

বিপত্তি

হারিয়ে যাবার অনেক আগেই
মারিয়েছিলাম গোবর,
পায়ের ছাপ-এ ছড়িয়ে গেল
নিরুদ্দেশের খবর!

মন্ত্রপূত তাগা

ভীষণ কঠিন সময় ছিল
আটকে ছিল হাগা,
এক কাপালিক পড়তে দিলেন
মন্ত্রপূত তাগা!
তাগার জোরে আলগা হয়েছে
সমস্ত দিক আজ,
করতে হয়না রোজ রাত্তিরে
বাম হাত টির কাজ !

বগল

দেখেছি জবে তোমারি বগল
মন মানে না কোনই আগল
স্প্যাঘেটি স্ট্র্যাপ-এ দাড়ালে এসে
বগল তুলে বললে হেসে
"হাই হাউ আর ইউ...."
সব ছন্দ সেখানেই কেটে গেল...

স্বপ্নের সিঁড়ি বেয়ে...

স্বপ্নের সিঁড়ি বেয়ে নেমে আসে চাঁদ
আলতো করে সে ছাড়ে সুগন্ধি পাদ
আমি বলি, "কে গো তুমি ছাড়লে যে বায়ু?
শুঁকে মোর অশান্ত হয়ে ওঠে স্নায়ু..."
চাঁদ কয়, "আমি তোর হারানো সে সুর,
ঠোঁট থেকে যার তুই চেটেছিলি গুড় |"

পাস-ফেল উঠে গেছে

দে-পাড়ার পিন্টুর একটাই আশ
ফিরে যাবে সেভেন-এ, করবে সে পাস!
সময়টা ছিল, দু হাজার সাত,
দুই চার বিষয়ে হয়েছিল কাত!
নতুন নিয়ম আজ, নাইকো ফাইট
পাস-ফেল উঠে গেছে আপ টু এইট!

"পোক"

ওপাড়ার ভেবলু ধরলো কি ঝোঁক,
প্রতিবেশী আন্টি কে করবে সে "পোক"!
শুনে তার বাবা এসে খুলে দিল তাকে,
এক খানি একাউন্ট সোজা ফেসবুকে |

নিহারিকা

সোজা নয় যাকে নিয়ে কাব্য লেখা
তুমি সেই নিহারিকা|
হাসি যার সহজে যায়না আঁকা
তুমি সেই নিহারিকা|
তুমি শালা অসাম, তুমি বস "সি. কে."
জীবনের সব রং তুমি ছাড়া ফিকে!

ক্যারাম বোর্ড

ক্যারাম বোর্ড এর লাল ঘুটি টা
যদি হত তোমার ঠোঁট,
বিপ্লব এর জন্য হতাম না
কিছুতেই একজোট|
সন্ধি করে নিতাম
বর্ণবিদ্বেষী দের সাথে....
শেষ হত সাদা ও কালো রা !

নেপথ্যের ওই দুখ

চেষ্টা করি আঁকতে ছবিতে,
তোমার রঙিন মুখ....
ব্যর্থ হচ্ছি তুলতে ফুটিয়ে
নেপথ্যের ওই দুখ!

জগজিত সিংহ এর প্রতি

মন-বন্দী ভীরু প্রেমগুলো
যখন জমত ভারে,
মন খারাপ এর রাত গুলো তে
কেঁদেছি তোমার সুরে.....

গজল-বাউল ভালো থেকো তুমি
আকাশপারের ঘরে |

অঙ্কুরিত প্রেম

কিছু প্রশ্নের উত্তর খোঁজা বৃথা
কিছু মুহূর্ত অর্থহীন-ই থাক...
দিবা-স্বপ্নের মায়াবী চন্দ্রাতপে,
অঙ্কুরিত প্রেম খাক ঘুরপাক |

পুজো

আমার পুজো প্রতি টি ক্ষণে
প্রতিদিন তোকে খুঁজি...
মনের কনে সর্বদা তুই,
প্রতিদিন তোকে পুজি |

সুখে থাকবার ভান

চাকরিও নেই, বেলা বোস-ও নেই,
তবু গেয়ে যাই গান....
অচেনা শহরে হর রোজ করি,
সুখে থাকবার ভান!

প্রবাসে দৈবের বসে

প্রবাসে দৈবের বসে,
কাব্যি যদি না আসে,
দিই বসে গ্রে সেল-এ চাপ...
আকাশে শরত মেঘ,
পেটে তে দু' এক পেগ...
কোনো কিছু আনেনা যে ভাব!

মনে পরে

মনে পরে আজ খুব,
ষষ্ঠীর সেই সন্ধ্যা....
পিং করেছিল সেই দিনে
আমায়, অভিনন্দা |

চোখে ছিল তার জাদু,
ঠোঁটে ছিল বিদ্যুত....
বর্তমানে শুধুই ব্যথা
বাকি সব আজ ভূত |

ভূমি কম্প

ভাত ঘুম দেন বসে
অফিসেতে হরি দে |
হাওয়া দেয় এ. সি. টা
বাড়ন্ত পারদে |
উঠলো হঠাত কেঁপে
চারিদিক সজোরে!
হরি ভাবে স্বপ্ন তা,
ঘুম চলে বেঘোরে |
অফিসের লোক করে
লম্ফ ও ঝম্প,
হরি বোঝে, স্বপ্ন না
ওটা ভূমি কম্প!

ডেটিং

চোখের কাজল তোর নিয়ে গেল দিল
পানসে লাগে যে তাই টমাটো বেসিল...
দুরু দুরু বুকে,
বললাম তোকে ,
আমি-ই দেব যে পুরো ডিনার-এর বিল!

মিত্রবাবু

মিত্রবাবু চিত্র আঁকেন সুররিয়াল এর ছকে
গুস্করা তে মদনা নামে চেনেন তাঁকে লোকে
শুঁড়হীন এক অদ্ভুত হাতি
এঁকে মিত্র পেলেন খ্যাতি,
কনগ্রাচুলেট করতে সবাই মিত্রবাড়ি ঢোকে!

অপেক্ষা

একটি বিশেষ জিত এর জন্য,
হারছি আমি বার বার|
একটি বিশেষ সৃষ্টি করতে,
করছি সবই ছারখার...

কবিতার পঞ্চনামা

এক কবিতায় মিষ্টি হাসি,
দুই কবিতায় হামি|
তিন কবিতায় উথলে ওঠে
আদিম সে পাগলামি|
চার কবিতায় জীবন-যাপন
অফুরান, অনবদ্য|
পঞ্চমে তার ছন্দ ফুরায়
সব-ই আজ তার গদ্য!

থাম

এবার তোরা থাম....
পন্থা তোদের ডান হোক,
বা মধ্য, কিম্বা বাম,
এবার তোরা থাম!
মানুষের ওই জীবন গুলোর
কিছু তো আছে দাম,
দোহায়...তোরা থাম!

I hate you (like I love you)

হাঁড়ি-কাঠে বাঁধা ছাগল যেন
যন্ত্রণা আজ এমন....
ঘৃনা করি আমি তোমায় ভীষণ
(ভালবাসতাম যেমন) !

গরম-এ খরম

পারদ চড়ছে চরচড়িয়ে, বাড়ছে তুখোর গরম
সেনগুপ্ত স্নিকার ছেড়ে পড়লে পায়ে খরম!
খরম পায়ের খটাং ধ্বনি তে
ভুতোর হচ্ছে এরর গণিতে
বাপ কে সে কয়, "পড়োনা কেন হাওয়াই চটি নরম?"

কবিতা বেঁচে নেই

আমার মধ্যে আর কোনো,
কবিতা বেঁচে নেই...
যার জন্য কাব্যের শুরু,
(তাকে) খুন করেছে সেই |
আমার মধ্যে আর কোনো,
ভালবাসা বাকি নেই,
শুষে নিয়েছে ধমনী থেকে,
ভালবাসা সব সেই!

সাবধানের মার নাই

সুতানুটি শহরের শশীলাল পাত্র
এক বাটি জল দিয়ে ভেজাতেন গাত্র|
প্রতিবেশী শ্যামলাল রাখলেন প্রশ্ন,
"অতটুকু জল কেন? আবহাওয়া যে উষ্ণ!"
শশী বলে, "জল যদি ঢালো গায়ে এনতার
সোনার চেয়ে বেশি হবে একদিন দাম তার!
তাই আমি আগে থেকে বাঁচাচ্ছি জল ভাই
সাবধান হলে বাপু কখনো যে মার নাই!"

কবিতা

বদ্ধ ঘরে ছটফট করি..
আমি আর ও |
আমি তো তবু সয়ে নেবো
এই অন্ধকার, এই বন্দী দশা...
ওকে মুক্তি দাও, ওকে পৌঁছে দাও
ওর অজস্র চাহ্নেওয়ালাদের কাছে |
পাখনা মেলুক ও,
আমার না বলা কথা গুলো কে সাথে নিয়ে |

বেশ করেছি বিয়েবাড়ি যাইনি

বেশ করেছি বিয়েবাড়ি যাইনি,
গিয়ে কি হবে?
বিরিয়ানি তো অনেক পাবো,
তোমাকে কি আর পাবো?
গায়ে চড়িয়ে রঙিন সাজ,
অন্য লোকের হয়েছো আজ|
আই. টি. -র ওই লোকটার সাথে,
চলে যাবে তুমি অনেক দূর...
কোনো মানে নেই আমার কাছে,
কচুড়ি তে আজ কিসের পুর |
ইচ্ছে করেই তাই বিয়েবাড়ি যাইনি!

বউ পালালো বিমান ঘোষের

বউ পালালো বিমান ঘোষের
বিয়ের পরেই সদ্য,
নতুন বউকে পটাতে বিমান
লিখতে বসেছে পদ্য!
পদ্যে লিখলো জটিল ভাষায়,
"তুমিই আমার জান"
বুঝলো না তার বউটি কিসুই,
সব-ই গেল ট্যান!
ফিরলো না আর প্রথম পক্ষ,
তবুও বিমান কবি,
আধুনিক সব কাব্যি পড়ে
পটল শেষে ববি!

কবিতার নেপথ্যে

কবিতার নেপথ্যে,
ছিল তোমার গরম নিশ্বাস...
সোনালী চুল,
সবুজ চোখ,
বেগুনি সাড়ি,
গোলাপী নেল-পালিশ,
ডোরা কাটা বালিশ,
তোমার সব কিছু|
ইদানিং...
অসঝ্য ওই না-কবিতা রা,
নিয়েছে আমার পিছু!

পরে রইলো আখরোট

নাগাসাকি ককটেল-এ
ভেজালো সে ঠোঁঠ...
ঝিকিমিকি আর্দ্রতায়,
পাথর হয়ে গেলাম |
পরে রইলো আখরোট, ঘাম-এ ভেজা টিসু,
আর অঙ্কুরিত দুঃসাহস !

নিশ্চিন্তি

বৃহন্নলার পাকানো বেণি তে,
বসতি গেড়েছে উকুন...
নিরবে হচ্ছে নগর-পত্তন|
বৃহন্নলা গায়,
নিশ্চিন্তে কেত্তন|

অনু-সন্ধান

অদৃশ্য অনুর সন্ধানে
শৈবাল সাগরে ডুব দিয়েছে
খ্যাঁক-শেয়াল|
লাল লাল জল,
সাদা সাদা বালি,
ওসামার চুল,
পলিথিন এর টুকরো,
পেনসিল ছোলা,
সব রয়েছে....
শুধু অনু নেই!

কনসাল্ট ফি

মেথর বলছে, "পারবো না বাবু করতে আজকে সাফ,
আপনার ওই কমোড-প্রাচীরে দাগ যে ভীষণ টাফ!"
গম্ভীর সেই সমস্যা টির হাল করলেন বাবু,
মেথর কে দেন এক বালতি কোক ও কিছু লেবু!
অনেক ঘষে কমোড হলো দাগ-হীন ঝকঝকে,
বাবু চাইলেন কনসাল্ট ফি, মেথর কে কাছে ডেকে |

ইমোশনাল ফ্যান

ইমোশনাল ফ্যান রে ওরে,
তুই এটা কি করলি?
খেলার মাঠে সটান গিয়ে,
দাদার পায়ে পড়লি!
বেশ করেছিস, এটাও একটা
নজর কাড়ার রাস্তা...
দাদা কাড়ছে নজর, খেলে
তোদের পথ টা সস্তা..

হাহাকার

অনেক চেষ্টা করেও হয় না,
এমন কাব্য লেখা....
পড়ে যা পাঠক বলবে আমাকে
আঁতেল অথবা ন্যাকা |

অনেক চেষ্টা করেও হয় না
এমন কবিতা সৃষ্টি
পড়ে যা বলবে বিদগ্ধ জন
আমার উচ্চ কৃষ্টি |

অনেক চেষ্টা করেও পারিনা
সৃষ্টি করতে ছন্দ,
শুনে যা, বলবে বোদ্ধা যত
"লেখ না মোটেই মন্দ!"

দেখা দাওনি একবারও

দেখা দাওনি একবারও,
তবু বসে গেছ মনে |
আজও এসে তুমি দাঁত ক্যালাও
মম ফ্যান্টাসি বনে!

দেখা দাওনি একবারও,
কথা বলেছ ফোনে|
আশা রাখি আমি এখনো প্রিয়ে
তুমি হবে মোর কনে!

একটি কাব্যি লিখবো ভেবে...

একটি কাব্যি লিখবো ভেবে
চুল্কেছিলুম মাথা,
খুশকি যত পড়ল ঝরে
নোংরা হলো খাতা|

একটি কাব্যি লিখবো ভেবে
চিবিয়ে ছিলুম কলম,
ব্যারাম হলো, মুক্তি দিলো
অনুলোম ও বিলোম!

একটি কাব্যি লিখবো ভেবে
পান করেছি সুরা,
বুঝি নাই, তুই না থাকলে,
কাব্যি লেখাই পীড়া!

পাগলু

হরমোন জাত জটিল পিয়াসে,
কানু কে জড়ায়ে রাধা অনায়াসে,
কহিল, "পাগলু,
চল না ইগলু
ঠান্ডায় করি প্রেম আয়েশে!"

জে. লো.

স্বপ্নে আইল নাচতে নাচতে
লাস্যময়ী জে. লো.,
হৃদয় আমার ডিগবাজি খায়
হই আমি এলোমেলো !
বাড়িয়ে দিয়ে মদের গেলাস
জে. লো. কয়, "সোনা, পী লো "...
এমন সময় ঘুম ভাঙ্গালো,
চিমটি কেটে ভুলো!!

মৃদুলের মুক্তি

কতিপয় কতবেল কিলিমানজারো তে
খেয়ে এসে মুলো রায় হেগে দিলো ভারতে
গন্ধে বিপুল,
ভাড়াটে মৃদুল,
প্রাণ হাতে পাড়ি দিলো উত্তর মেরু তে!

বোঁদে-র বিকল্প

যত ভাবি বোঁদে খাব হাতে ধ'রে বাটি
দুশমন জমানা করে পোঁদে কাঠি!
বোঁদে খাওয়া আপাতত রেখে মুলতুবি
টিভি খুলে এনজয় করি নীল ছবি |
নীল ছবি জুড়ে শুধু নীলিমার বুক
হরমোনে ঝড় তোলে, দেয় বড় সুখ!

লোকপাল

দুরমুশ করে দাও দুর্নীতিওয়ালা কে |
হাতে হাত মিলিয়ে বোকা, ও চালাকে |
চুরি যারা করে মাল,
নিয়ে এসে লোকপাল,
ধরে ধরে মারো কিল সব বদ ব্যাটাকে!

ভ্রষ্ট

নগ্ন হবার প্রতিশ্রুতি রাখলে না,
ফালতু আওয়াজ তুললে তুমি বাজারে|
ভ্রষ্ট দেশে ঠগ বাছতে এমন অনেক,
অনশনে আজ বসেছেন ওই হাজারে!

মাখামাখি

সরীসৃপ এর ঠান্ডা রক্তে,
গরম ওয়ান্তন সুপ মিশে যায় অবলীলায়|
শুরু হয় শ্রেণী-সংগ্রাম...
চরম উথাল-পাথাল, ঘূর্ণি ঝড় এবং সুনামি হতে
উঠে আসে নির্বসনা পুনম পান্ডে!

তোকে আমি আজ কামড়াবই

তোকে আমি আজ কামড়াবই
দেখি কি ভাবে আটকাস!
কতদিন কষে কামড়াই নি,
পেরিয়ে গেছে আট মাস|
হতে পারি আমি বদ্ধ পাগল
তাতে তোর কিবা আসে যায়?
খামোখা আমাকে কাঠি করলি...
আয় তোকে ধরে কামড়াই!

দিনমণি দাম

দমদার দিলওয়ালা দিনমণি দাম
ব্যথা ভরা টাকে মাখে বিজাতীয় বাম
ব্যথা তার গেল ঠিকই
বাম মেখে হলো টিকি
দিনমণি বড় সুখে খেলো কালো জাম!

ভূগোলের এক্জাম

ভূগোলের এক্জাম, ধাঁধা লাগে ম্যাপ
রাত জেগে পটা পাল, গিলছে ডিক্যাফ!
সারা রাত গেল কাটি
প্রস্তুতি হলো খাঁটি
পরিক্ষা হল-এ গিয়ে, পটা দিল ন্যাপ!!

দুষ্যন্ত ও শকুন্তলা: এক অন্য আঙ্গিক

দুষ্যন্ত গাইল গান ছাইয়া ছাইয়া ছাইয়া
শকুন্তলা চিল্লিয়ে কয়, "চুপ হো যাও ভাইয়া "
কইলো রাজা, "ভাই কেন কও, তুমি হবে মোর রাণি..."
উত্তরে কয় শকুন্তলা, "ফুট লে রাজা জানি! "
রিজেকশন এর শক যেন আজ হাজার খানিক ভোল্ট,
দুঃখ ভুলতে পান করে রাজা স্কচ সিঙ্গেল মল্ট!

লুঙ্গি ভিজলো মামার

লুঙ্গি ভিজলো মামার, খেয়ে দুই মণ গলদা
অস্থির হয়ে মামিমা ছোটেন সিউড়ি থেকে মালদা
অদ্ভূত এক ব্যারাম
জীবন করলে হারাম
হোমিওপ্যাথিক ওষুধ শেষে দিলেন রাঁচির ফুলদা' !

পরের তেল

তেল মারে শীতকালে শিবু তলাপাত্র
পেল্লায় ভুড়ি টা তে ছয় শিশি মাত্র!
যেভাবে বাড়ছে পেট
তেল এক্ঝৌস্টেড
হাতাতে পরের তেল, শিবু তোলে গাত্র!

হেগো পদ্য

কখনো জটিল, কখনো সরল|
কখনো কঠিন, কখনো তরল|
শুরু হয়ে সেই বিরাশি সালে,
হাগা হয়ে যায় রোজ সকালে |
আজও হেগেছি দুইবার খাসা,
কমোডের জলে পীত ভাসা ভাসা|
আজকের এই লঘু পদ্য
হাগার জন্য লিপিবদ্ধ!

দুরমুশ হলো আত্ম-বিশ্বাস

যাকে একদিন বিশ্বাস করে সঁপেছি নিজের আত্মা
দুরমুশ হলো আত্ম-বিশ্বাস..না পেয়ে তার পাত্তা!
নিজেকে বেচতে তৈরি ছিলাম, সাজিয়ে ছিলাম ঘুটি
বিষাক্ত সব দুর্ভাগ্যে বেচাকেনা হলো মাটি!
না বলা সব আবেগ গুলো ফালতু গেছিল ভরে
রক্ত স্রাব এর মতই যেন সব কিছু গেল ঝরে!!

চন্দনা

যন্ত্রের কাছে হার মেনে আজ
কাজ হারালো চন্দনা...
যন্ত্র সে না, মানুষ ভীষণ,
তাই বুকে তার যন্ত্রণা !
উত্পাদনে আনতে গতি
চাই না তাকে কাজে...
পেটের দায়ে চন্দনা তাই
হয়েছে মেয়ে বাজে!!

নবাব এর কীর্তি

দামামা বাজছে দরবারে..আসছে নবাব ওই
হাতে রয়েছে হুজুরের আজ, নিষিদ্ধ নীল বই!
বই খুলে ভরা সভার মাঝে
নবাব পড়েন গল্প বাজে
বিদগ্ধ সব সভাসদ গণ করলেন হই চই!