কবিতার পঞ্চনামা

এক কবিতায় মিষ্টি হাসি,
দুই কবিতায় হামি|
তিন কবিতায় উথলে ওঠে
আদিম সে পাগলামি|
চার কবিতায় জীবন-যাপন
অফুরান, অনবদ্য|
পঞ্চমে তার ছন্দ ফুরায়
সব-ই আজ তার গদ্য!

থাম

এবার তোরা থাম....
পন্থা তোদের ডান হোক,
বা মধ্য, কিম্বা বাম,
এবার তোরা থাম!
মানুষের ওই জীবন গুলোর
কিছু তো আছে দাম,
দোহায়...তোরা থাম!

I hate you (like I love you)

হাঁড়ি-কাঠে বাঁধা ছাগল যেন
যন্ত্রণা আজ এমন....
ঘৃনা করি আমি তোমায় ভীষণ
(ভালবাসতাম যেমন) !

গরম-এ খরম

পারদ চড়ছে চরচড়িয়ে, বাড়ছে তুখোর গরম
সেনগুপ্ত স্নিকার ছেড়ে পড়লে পায়ে খরম!
খরম পায়ের খটাং ধ্বনি তে
ভুতোর হচ্ছে এরর গণিতে
বাপ কে সে কয়, "পড়োনা কেন হাওয়াই চটি নরম?"

কবিতা বেঁচে নেই

আমার মধ্যে আর কোনো,
কবিতা বেঁচে নেই...
যার জন্য কাব্যের শুরু,
(তাকে) খুন করেছে সেই |
আমার মধ্যে আর কোনো,
ভালবাসা বাকি নেই,
শুষে নিয়েছে ধমনী থেকে,
ভালবাসা সব সেই!

সাবধানের মার নাই

সুতানুটি শহরের শশীলাল পাত্র
এক বাটি জল দিয়ে ভেজাতেন গাত্র|
প্রতিবেশী শ্যামলাল রাখলেন প্রশ্ন,
"অতটুকু জল কেন? আবহাওয়া যে উষ্ণ!"
শশী বলে, "জল যদি ঢালো গায়ে এনতার
সোনার চেয়ে বেশি হবে একদিন দাম তার!
তাই আমি আগে থেকে বাঁচাচ্ছি জল ভাই
সাবধান হলে বাপু কখনো যে মার নাই!"

কবিতা

বদ্ধ ঘরে ছটফট করি..
আমি আর ও |
আমি তো তবু সয়ে নেবো
এই অন্ধকার, এই বন্দী দশা...
ওকে মুক্তি দাও, ওকে পৌঁছে দাও
ওর অজস্র চাহ্নেওয়ালাদের কাছে |
পাখনা মেলুক ও,
আমার না বলা কথা গুলো কে সাথে নিয়ে |

বেশ করেছি বিয়েবাড়ি যাইনি

বেশ করেছি বিয়েবাড়ি যাইনি,
গিয়ে কি হবে?
বিরিয়ানি তো অনেক পাবো,
তোমাকে কি আর পাবো?
গায়ে চড়িয়ে রঙিন সাজ,
অন্য লোকের হয়েছো আজ|
আই. টি. -র ওই লোকটার সাথে,
চলে যাবে তুমি অনেক দূর...
কোনো মানে নেই আমার কাছে,
কচুড়ি তে আজ কিসের পুর |
ইচ্ছে করেই তাই বিয়েবাড়ি যাইনি!

বউ পালালো বিমান ঘোষের

বউ পালালো বিমান ঘোষের
বিয়ের পরেই সদ্য,
নতুন বউকে পটাতে বিমান
লিখতে বসেছে পদ্য!
পদ্যে লিখলো জটিল ভাষায়,
"তুমিই আমার জান"
বুঝলো না তার বউটি কিসুই,
সব-ই গেল ট্যান!
ফিরলো না আর প্রথম পক্ষ,
তবুও বিমান কবি,
আধুনিক সব কাব্যি পড়ে
পটল শেষে ববি!

কবিতার নেপথ্যে

কবিতার নেপথ্যে,
ছিল তোমার গরম নিশ্বাস...
সোনালী চুল,
সবুজ চোখ,
বেগুনি সাড়ি,
গোলাপী নেল-পালিশ,
ডোরা কাটা বালিশ,
তোমার সব কিছু|
ইদানিং...
অসঝ্য ওই না-কবিতা রা,
নিয়েছে আমার পিছু!

পরে রইলো আখরোট

নাগাসাকি ককটেল-এ
ভেজালো সে ঠোঁঠ...
ঝিকিমিকি আর্দ্রতায়,
পাথর হয়ে গেলাম |
পরে রইলো আখরোট, ঘাম-এ ভেজা টিসু,
আর অঙ্কুরিত দুঃসাহস !

নিশ্চিন্তি

বৃহন্নলার পাকানো বেণি তে,
বসতি গেড়েছে উকুন...
নিরবে হচ্ছে নগর-পত্তন|
বৃহন্নলা গায়,
নিশ্চিন্তে কেত্তন|

অনু-সন্ধান

অদৃশ্য অনুর সন্ধানে
শৈবাল সাগরে ডুব দিয়েছে
খ্যাঁক-শেয়াল|
লাল লাল জল,
সাদা সাদা বালি,
ওসামার চুল,
পলিথিন এর টুকরো,
পেনসিল ছোলা,
সব রয়েছে....
শুধু অনু নেই!

কনসাল্ট ফি

মেথর বলছে, "পারবো না বাবু করতে আজকে সাফ,
আপনার ওই কমোড-প্রাচীরে দাগ যে ভীষণ টাফ!"
গম্ভীর সেই সমস্যা টির হাল করলেন বাবু,
মেথর কে দেন এক বালতি কোক ও কিছু লেবু!
অনেক ঘষে কমোড হলো দাগ-হীন ঝকঝকে,
বাবু চাইলেন কনসাল্ট ফি, মেথর কে কাছে ডেকে |

ইমোশনাল ফ্যান

ইমোশনাল ফ্যান রে ওরে,
তুই এটা কি করলি?
খেলার মাঠে সটান গিয়ে,
দাদার পায়ে পড়লি!
বেশ করেছিস, এটাও একটা
নজর কাড়ার রাস্তা...
দাদা কাড়ছে নজর, খেলে
তোদের পথ টা সস্তা..

হাহাকার

অনেক চেষ্টা করেও হয় না,
এমন কাব্য লেখা....
পড়ে যা পাঠক বলবে আমাকে
আঁতেল অথবা ন্যাকা |

অনেক চেষ্টা করেও হয় না
এমন কবিতা সৃষ্টি
পড়ে যা বলবে বিদগ্ধ জন
আমার উচ্চ কৃষ্টি |

অনেক চেষ্টা করেও পারিনা
সৃষ্টি করতে ছন্দ,
শুনে যা, বলবে বোদ্ধা যত
"লেখ না মোটেই মন্দ!"

দেখা দাওনি একবারও

দেখা দাওনি একবারও,
তবু বসে গেছ মনে |
আজও এসে তুমি দাঁত ক্যালাও
মম ফ্যান্টাসি বনে!

দেখা দাওনি একবারও,
কথা বলেছ ফোনে|
আশা রাখি আমি এখনো প্রিয়ে
তুমি হবে মোর কনে!

একটি কাব্যি লিখবো ভেবে...

একটি কাব্যি লিখবো ভেবে
চুল্কেছিলুম মাথা,
খুশকি যত পড়ল ঝরে
নোংরা হলো খাতা|

একটি কাব্যি লিখবো ভেবে
চিবিয়ে ছিলুম কলম,
ব্যারাম হলো, মুক্তি দিলো
অনুলোম ও বিলোম!

একটি কাব্যি লিখবো ভেবে
পান করেছি সুরা,
বুঝি নাই, তুই না থাকলে,
কাব্যি লেখাই পীড়া!

পাগলু

হরমোন জাত জটিল পিয়াসে,
কানু কে জড়ায়ে রাধা অনায়াসে,
কহিল, "পাগলু,
চল না ইগলু
ঠান্ডায় করি প্রেম আয়েশে!"

জে. লো.

স্বপ্নে আইল নাচতে নাচতে
লাস্যময়ী জে. লো.,
হৃদয় আমার ডিগবাজি খায়
হই আমি এলোমেলো !
বাড়িয়ে দিয়ে মদের গেলাস
জে. লো. কয়, "সোনা, পী লো "...
এমন সময় ঘুম ভাঙ্গালো,
চিমটি কেটে ভুলো!!