ভীষণ কঠিন সময় ছিল আটকে ছিল হাগা, এক কাপালিক পড়তে দিলেন মন্ত্রপূত তাগা! তাগার জোরে আলগা হয়েছে সমস্ত দিক আজ, করতে হয়না রোজ রাত্তিরে বাম হাত টির কাজ !
স্বপ্নের সিঁড়ি বেয়ে নেমে আসে চাঁদ আলতো করে সে ছাড়ে সুগন্ধি পাদ আমি বলি, "কে গো তুমি ছাড়লে যে বায়ু? শুঁকে মোর অশান্ত হয়ে ওঠে স্নায়ু..." চাঁদ কয়, "আমি তোর হারানো সে সুর, ঠোঁট থেকে যার তুই চেটেছিলি গুড় |"
দে-পাড়ার পিন্টুর একটাই আশ ফিরে যাবে সেভেন-এ, করবে সে পাস! সময়টা ছিল, দু হাজার সাত, দুই চার বিষয়ে হয়েছিল কাত! নতুন নিয়ম আজ, নাইকো ফাইট পাস-ফেল উঠে গেছে আপ টু এইট!
সোজা নয় যাকে নিয়ে কাব্য লেখা তুমি সেই নিহারিকা| হাসি যার সহজে যায়না আঁকা তুমি সেই নিহারিকা| তুমি শালা অসাম, তুমি বস "সি. কে." জীবনের সব রং তুমি ছাড়া ফিকে!
ক্যারাম বোর্ড এর লাল ঘুটি টা যদি হত তোমার ঠোঁট, বিপ্লব এর জন্য হতাম না কিছুতেই একজোট| সন্ধি করে নিতাম বর্ণবিদ্বেষী দের সাথে.... শেষ হত সাদা ও কালো রা !
এক কবিতায় মিষ্টি হাসি, দুই কবিতায় হামি| তিন কবিতায় উথলে ওঠে আদিম সে পাগলামি| চার কবিতায় জীবন-যাপন অফুরান, অনবদ্য| পঞ্চমে তার ছন্দ ফুরায় সব-ই আজ তার গদ্য!
আমার মধ্যে আর কোনো, কবিতা বেঁচে নেই... যার জন্য কাব্যের শুরু, (তাকে) খুন করেছে সেই | আমার মধ্যে আর কোনো, ভালবাসা বাকি নেই, শুষে নিয়েছে ধমনী থেকে, ভালবাসা সব সেই!
সুতানুটি শহরের শশীলাল পাত্র এক বাটি জল দিয়ে ভেজাতেন গাত্র| প্রতিবেশী শ্যামলাল রাখলেন প্রশ্ন, "অতটুকু জল কেন? আবহাওয়া যে উষ্ণ!" শশী বলে, "জল যদি ঢালো গায়ে এনতার সোনার চেয়ে বেশি হবে একদিন দাম তার! তাই আমি আগে থেকে বাঁচাচ্ছি জল ভাই সাবধান হলে বাপু কখনো যে মার নাই!"
বদ্ধ ঘরে ছটফট করি.. আমি আর ও | আমি তো তবু সয়ে নেবো এই অন্ধকার, এই বন্দী দশা... ওকে মুক্তি দাও, ওকে পৌঁছে দাও ওর অজস্র চাহ্নেওয়ালাদের কাছে | পাখনা মেলুক ও, আমার না বলা কথা গুলো কে সাথে নিয়ে |
বেশ করেছি বিয়েবাড়ি যাইনি, গিয়ে কি হবে? বিরিয়ানি তো অনেক পাবো, তোমাকে কি আর পাবো? গায়ে চড়িয়ে রঙিন সাজ, অন্য লোকের হয়েছো আজ| আই. টি. -র ওই লোকটার সাথে, চলে যাবে তুমি অনেক দূর... কোনো মানে নেই আমার কাছে, কচুড়ি তে আজ কিসের পুর | ইচ্ছে করেই তাই বিয়েবাড়ি যাইনি!
বউ পালালো বিমান ঘোষের বিয়ের পরেই সদ্য, নতুন বউকে পটাতে বিমান লিখতে বসেছে পদ্য! পদ্যে লিখলো জটিল ভাষায়, "তুমিই আমার জান" বুঝলো না তার বউটি কিসুই, সব-ই গেল ট্যান! ফিরলো না আর প্রথম পক্ষ, তবুও বিমান কবি, আধুনিক সব কাব্যি পড়ে পটল শেষে ববি!
অদৃশ্য অনুর সন্ধানে শৈবাল সাগরে ডুব দিয়েছে খ্যাঁক-শেয়াল| লাল লাল জল, সাদা সাদা বালি, ওসামার চুল, পলিথিন এর টুকরো, পেনসিল ছোলা, সব রয়েছে.... শুধু অনু নেই!
মেথর বলছে, "পারবো না বাবু করতে আজকে সাফ, আপনার ওই কমোড-প্রাচীরে দাগ যে ভীষণ টাফ!" গম্ভীর সেই সমস্যা টির হাল করলেন বাবু, মেথর কে দেন এক বালতি কোক ও কিছু লেবু! অনেক ঘষে কমোড হলো দাগ-হীন ঝকঝকে, বাবু চাইলেন কনসাল্ট ফি, মেথর কে কাছে ডেকে |
ইমোশনাল ফ্যান রে ওরে, তুই এটা কি করলি? খেলার মাঠে সটান গিয়ে, দাদার পায়ে পড়লি! বেশ করেছিস, এটাও একটা নজর কাড়ার রাস্তা... দাদা কাড়ছে নজর, খেলে তোদের পথ টা সস্তা..
যত ভাবি বোঁদে খাব হাতে ধ'রে বাটি দুশমন জমানা করে পোঁদে কাঠি! বোঁদে খাওয়া আপাতত রেখে মুলতুবি টিভি খুলে এনজয় করি নীল ছবি | নীল ছবি জুড়ে শুধু নীলিমার বুক হরমোনে ঝড় তোলে, দেয় বড় সুখ!
সরীসৃপ এর ঠান্ডা রক্তে, গরম ওয়ান্তন সুপ মিশে যায় অবলীলায়| শুরু হয় শ্রেণী-সংগ্রাম... চরম উথাল-পাথাল, ঘূর্ণি ঝড় এবং সুনামি হতে উঠে আসে নির্বসনা পুনম পান্ডে!
তোকে আমি আজ কামড়াবই দেখি কি ভাবে আটকাস! কতদিন কষে কামড়াই নি, পেরিয়ে গেছে আট মাস| হতে পারি আমি বদ্ধ পাগল তাতে তোর কিবা আসে যায়? খামোখা আমাকে কাঠি করলি... আয় তোকে ধরে কামড়াই!
লুঙ্গি ভিজলো মামার, খেয়ে দুই মণ গলদা অস্থির হয়ে মামিমা ছোটেন সিউড়ি থেকে মালদা অদ্ভূত এক ব্যারাম জীবন করলে হারাম হোমিওপ্যাথিক ওষুধ শেষে দিলেন রাঁচির ফুলদা' !
কখনো জটিল, কখনো সরল| কখনো কঠিন, কখনো তরল| শুরু হয়ে সেই বিরাশি সালে, হাগা হয়ে যায় রোজ সকালে | আজও হেগেছি দুইবার খাসা, কমোডের জলে পীত ভাসা ভাসা| আজকের এই লঘু পদ্য হাগার জন্য লিপিবদ্ধ!
যাকে একদিন বিশ্বাস করে সঁপেছি নিজের আত্মা দুরমুশ হলো আত্ম-বিশ্বাস..না পেয়ে তার পাত্তা! নিজেকে বেচতে তৈরি ছিলাম, সাজিয়ে ছিলাম ঘুটি বিষাক্ত সব দুর্ভাগ্যে বেচাকেনা হলো মাটি! না বলা সব আবেগ গুলো ফালতু গেছিল ভরে রক্ত স্রাব এর মতই যেন সব কিছু গেল ঝরে!!
যন্ত্রের কাছে হার মেনে আজ কাজ হারালো চন্দনা... যন্ত্র সে না, মানুষ ভীষণ, তাই বুকে তার যন্ত্রণা ! উত্পাদনে আনতে গতি চাই না তাকে কাজে... পেটের দায়ে চন্দনা তাই হয়েছে মেয়ে বাজে!!
ইস্কাবন এর কালো বিবি বল না কবে আমার হবি? খেলতে পারি আমিও তোদের মতই খেলা... সূর্য যখন ঢলে পড়বে আজকে সন্ধে বেলা, আসিস তখন... ফেলবো লুকিয়ে রাখা তাস| প্রতি টি দানেই ওভার ট্রাম্প হবি, তখন বুঝবি, কাকে বলে বাঁশ!
দুই পাগলে লড়াই করে, ধস্তাধস্তি খুব, সুন্দরী এক রাজকন্যের কে হবে মেহবুব! হঠাত একটি অচেনা বামন রাজকন্যের জিতে নিল মন পাগল দুজন মনের দুখে নালায় দিল ডুব!
রোমিও গিয়েছে রোম, লিখতে রম্য রচনা, বোর হয়ে তাই জুলিয়েট করে, নতুন প্রেমের সূচনা | গোলাপ কাননে দিন চার, জমিয়ে হলো অভিসার, রোমিও কে শেষে জুলিয়েট কয়, "স্বপ্নে আমাকে খুঁজো না!"